না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার উপায়, অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় ২০২৪


আস্সলামু আলাইকুম। পরিক্ষা আমাদের কাছে একটি ভয়ংকর শব্দ।অনেকে এই পরিক্ষায় পড়ে ভালো ফল লাভ করতে পারে না।আবার অনেকে না পড়ে এই পরিক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করে।আবার এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের পরিক্ষার কথা শুনলেই আর পড়া লেখা করতে মন চায় না।

পরিক্ষা টি আপনার কাছে সহজ মনে হবে যদি আপনার কাছে পরিক্ষা সম্পর্কে বেসিক নলেজ থাকে এবং কিছুটা হলেও সৃজনশীলতা থাকে। এই অধুনিক যগে সবই সৃজনশীলতা। যে যত বেশি সৃজনশীল সে তত বেশি এগিয়ে।

সবার মধ্যেই এই সৃজনশীল ব্যপারটা আছে তবে তা সবাই কাজে লাগাতে সক্ষম হয় না।তাই আজকে আমি আপনাদের এই ভয়ংকর পরিক্ষা শব্দটিকে সহজ করতে এবং না পড়ে যেন পরিক্ষায় পাস করা যায় সেই সম্পর্কে বলবো।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে না পড়ে আমরা পরিক্ষায় পাস করতে পারবো।

নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা

যদি না পড়ে পাস করতে চান তবে আপনার প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা।নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার ফলে স্যারদের কিছুটা মনোযোগ আর্কষণ করা যায়।এবং না পড়লেও ক্লাসে কিছু টা হলেও জ্ঞান লাভ করা যায়।অনেক সময় স্যারেরা বলে থাকেন যে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীরা কখনও ফেইল করে না।এর কারণ হচ্ছে তারা বাসাই না পড়লেও প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকার ফলে কিছুটা হলেও শিখতে পারে।এবং তা তারা পরিক্ষা কিছুটা হলেও কাজে লাগাতে পারে।

ক্লাসে মনোযোগী হওয়া

বাসাই না পরলেও ক্লাসে স্যার যারা পড়াই তা মনোযোগ সহকারে শুনা। এতে করে আমরা স্যারের প্রিয় হতে পারি এবং না পড়েই স্যারের পড়ানো থেকে অনেক কিছু আয়ত্ত করতে পারি। যা আমাদের পরিক্ষা সময় কাজে লাগে। অধিকাংশ স্যারেরাই পরিক্ষা যে অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসবে বা কোথা থেকে প্রশ্ন করা হবে তা আগে স্টুডেন্টদের শিখায়।যার ফলে এখান থেকেই পরিক্ষা সম্পর্কে অনেক কিছু ধারণা পাওয়া যায়।

ক্লাসের পড়া নোট করে সংরক্ষণ করা

ক্লাসে স্যারেরা যেহেতু পরিক্ষার জন্য উপকারি এমন টপিকগুলোই স্টুডেন্টদের পাঠ দান করিয়ে থাকেন। সেহেতু তা নোট করে সংরক্ষণ করাই ভালো।না পড়লেও অন্তত পরিক্ষা নময় বেশ কিছু উপকারি হয় এই নোটগুলো।তাই প্রত্যেটা ক্লাসেই নোট করা পরিক্ষা জন্য ভালো।

ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা

ক্লাসে স্যার যা পড়াই তা মনোযোগ সহকারে শুনলে সেই বিষয়ে আমাদের অনেকটাই ধারণা হয়ে যায়।কেননা নিজে পড়ার চেয়ে অন্যকেউ বুঝিয়ে পড়িয়ে দিলে তা আমাদের ব্রেনে খুব দ্রুত সেট হয়ে যায়।তাই স্যার যা পড়াই তা মনোযোগ সহকারে শুনে নিজের আয়ত্তে নিয়ে পেলা উচিত।তা পরিক্ষা সময় অনেক কার্যকরি হয় আমাদের জন্য।

হাতের লিখা সুন্দর করা

স্যারেরা পরিক্ষা খাতা কাটার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাতের লিখার উপর নাম্বার প্রদান করে থাকেন।কেননা সুন্দর হাতের লিখা কাটতে বা মান বন্টনে অনেক সুবিধা হয়।এই ক্ষেত্রে হাতের লিখা সুন্দর হওয়ার স্যারেরা খুব সহজে খাতাটি কাটতে পারে।লিখা বিঝতে কোনো সমস্যা না হওয়ায় স্যারেরা ফুল নাম্বার দিয়ে দেয়।

নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো

না পড়লে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাও।পৃথিবীর প্রত্যকটা মানুষের কিছু হাইট নলেজ আছে যা মানুষ কাজে লাগাই না বা কাজে লাগাতে জানে না।পরিক্ষায় নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো গুছিয়ে লিখতে পারলে স্যারদের এক্সটা এটেনশন পাওয়া যায়।এতে স্যারেরা খুশি হয় এবং খাতার লিখার মান ভালো হলে নাম্বার দিয়ে দেন।

না পড়লেও বিষয় ভিত্তিক বেসিক নলেজ রাখা

কোনো বিষয় তোমার ভালো না লাগলে বা সেই বিষয়টি পড়তে না চাইলে।সেই বিষয়টি সম্পর্কে বেসিক ধারণা নাও।না পড়েও বেসিক ধারণা দিয়ে নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে অনেক কিছু লিখা যায়।এতে স্যারেরা তোমার খাতায় মুখুস্ত কিছু না দেখলে তোমার প্রতি আরো খুশি হবে এবং ফুল মাক্স তোমায় দিয়ে দিবে।

ভিডিও ক্লাস করা

এখন যেহেতু অনলাইনের যুগ।সেহেতু না পড়েও চাইলে তুমি অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যার্টফর্ম থেকে তুমি তোমার প্রয়োজন মতো ক্লাস করে পরিক্ষা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারো। অনলাইন ক্লাসগুলো যেহেতু আমরা মোবাইলে ভিডিও মতো দেখি সেহেতু তা আমাদের ব্রেন খুব দ্রুত সেট হয়।

বিগত বছর বা বোর্ড প্রশ্নের সমাধান করা

না পড়েও চাইলে তুমি বিভিন্ন বোর্ড প্রশ্ন সমাধান করে পরিক্ষার ধারণা নিতে পারো। এটি তোমাকে প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করবে যা তোমার পরিক্ষা তোমাকে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে

পরিক্ষার থাকায় টেনকিনলি লিখা

অনেকেই আছে অগুছালো ভাবে পরিক্ষার খাতায় লিখালিখি করে। যা ফলে স্যারেরা খাতা কাটতে বিরক্তবোধ করে এবং ফেইল করিয়ে দেই।পরিক্ষার খাতায় যা লিখবে তা সুন্দর করে গুছিয়ে স্যারদের বোধগম্য হয় এমন ভাবে লিখতে হবে। 

যেমন সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রে ক'প্রশ্নে জ্ঞান মূলক প্রশ্ন আসে সেটা এক লাইনে সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তর করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কিছু লিখা যাবে না। তেমনি বাকি প্রশ্নগুলোও গুছিয়ে অল্প কথার মধ্যে লিখতে হবে। অনেকে মনে করে পরিক্ষার খাতায় বেশি লিখলে হয়তো পাস করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় লিখা বেশ চোখে পরলে স্যাররা আর সেই খাতাটি কাটতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।

পরিক্ষা সময় আগের পাঠদান গুলো একবার রিভিশন দেওয়া

পরিক্ষা সময় একদম না পরলেও আগে যা শিখেছি আগে যেটুকু আমি পড়েছি সেই টুকু আরেক বার রিভিশন দেওয়া উচিত। এতে করে পরিক্ষার প্রশ্ন দেখে যেন আপসোস করতে না হয় "যে এই পড়াটা তো আমি পারি বাট না দেখে আসার ফলে এখন পারছি না"।যা পারি তাই পরিক্ষায় রিভিশন দিয়ে পরিক্ষা দিতে যাওয়া।

পরিক্ষা আগে মেধাবী বন্ধদের সাহায্য নেওয়া

ক্লাসে অনেক ভালো স্টুডেন্ট থাকে যারা পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করে।তাদের থেকে পরিক্ষা আগে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এমন টপুক গুলো সম্পর্কে বুঝিয়ে নেওয়া বা তাদের সাথে বসে টপিকগুলো সমাধান করা। এতে করে পরিক্ষা খাতায় অল্প হলেও লিখা যায়। যার ফলে পাস করা সহজ হয়। কেননা একদম না লিখলে স্যারেরা কেমনে নাম্বার দিবে। আর একটা শিক্ষক কখনও চায় না যে একটা স্টুডেন্ট পরিক্ষায় ফেইল করুক। সে যত খারাপ স্টুডেন্ট হোক না কেন।

পরিশেষে আমাদের কথা

সাধারণত না পড়ে কখনই  পাস করা যায় না।তাই অল্প হলেও পড়তে হবে।এবং তা টেকনিকলি পড়তে হবে।আর একটা কাজ হচ্ছে পরিক্ষার আগে নিজেকে স্ট্রং রাখা।অনেকে আছে পরিক্ষা আসলে বা পরিক্ষা সময় দূর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এটা কখনই উচিত নয়।সব সময় সব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলার মতো সাহস তোমার নিজের কাছে রাখতে হবে।পরিক্ষা এমন কোনো ভয়ংকর বিষয় নয়। সো এক্ষেত্রে নিজেকে স্ট্রোং রেখের নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে চায়লে তুমিও পাস করতে পারো। আশা করি উপরের দেওয়া টপিক সমূহ পরিক্ষায় না পড়েও পাস করার ক্ষেত্রে তোমার জন্য সাহায্যকারী হবে। ইনশাআল্লাহ
Bloggbine.com

Help us to visit Bloggbine.com Regular. If any Questions please let us know by our contact page, Thank you.

Post a Comment

Previous Post Next Post