![]() |
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় |
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়ঃ আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই উপায় গুলো আপনার জন্য।
প্রত্যেক মানুষের পরীক্ষা নিয়ে অনেক চিন্তা- দুশ্চিন্তা থাকে। আর এই চিন্তা হলো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট কিভাবে করা যায়। যে পরীক্ষা নিয়ে কোন চিন্তা করে না তার পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেকটাই খারাপ হতে দেখা যায়।
পড়ালেখা যেহেতু আছে তাই পরীক্ষাও আছে। এই পরীক্ষা বাদ দেওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই সবাই চায় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে।
এই জন্য পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো, পাশাপাশি এ সম্পর্কে নানা রকম বিষয় তুৃলে ধরব । যাতে করে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ্!
পরীক্ষায় ভালো করার সঠিক উপায় গুলো জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো জানতে চান তাহলে নিচের দেওয়া পয়েন্ট গুলো পড়ুন। এই নিয়ম গুলো মেনে চললে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। যেমনঃ
- পরিকল্পনা করে পড়া।
- পড়ার মাঝে বিরতি নেওয়া।
- পড়ার পাশাপাশি সেই পড়াগুলো লিখে বানান গুলো শুদ্ধ করা এবং মনে রাখা।
- ভালো বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ তৈরি করে পড়া।
- নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা।
- রাত নাহ জেগে ঠিকমতো ঘুমানো।
- নোট খাতা তৈরি করে পড়া।
- পড়ালেখার পরিবেশ তৈরী করে পড়া।
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাইলাইট করা।
- প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন বুঝে-শুনে মুখস্ত করা।
- সময় নির্ধারণ করা।
- বার বার নিজের সততার কাছেই পরীক্ষা দেওয়া।
- কমপক্ষে২ মাস আগে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া।
- পরীক্ষার দিনের রাতগুলোতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো।
- নিজেকে নিজে উৎসাহ দেওয়া।
- কিভাবে পরীক্ষায় ভালো করা যায় সেই চিন্তাই মগ্ন না থেকে ভালো করে পড়া রিভিশন দেয়া।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো অবশ্যই আপনাকে ফলো করতে হবে । যদি এগুলো অনুসরণ করেন তাহলে পরিক্ষায় আপনার সফলতা সুনিশ্চিত । ইনশাআল্লাহ্! তারপর, চলুন আলোচনা শুরু করা যাক!!!
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় বিস্তারিত জেনে নিন
ইতিমধ্যেই আপনারা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করে দিয়েছি যার জন্য আপনারা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।
পরিকল্পনা করে পড়াশোনা করা
পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজে পরিপূর্ণভাবে সফলতা অর্জন করা যায় না। অতএব পড়ালেখা শুরু করার আগে নিজেদের পড়াশোনার বিষয় নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা দরকার এবং সেই অনুযায়ী পড়া কমপ্লিট করা দরকার। তাই পরিকল্পনা তৈরি করে পড়াশোনা করুন।
পড়ার মাঝে বিরতি নেওয়া
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার আরেকটি উপায় হল, পড়ার মাঝে কিছু সময়ে জন্য বিরতি নেওয়া। কারণ এক ভাবে পড়তে পড়তে এক ঘেঁয়েমি ক্লান্তি চলে আসে। তখন চেষ্টা করার পরেও পড়ায় পরিপূর্ণ মনোযোগ টা দেওয়া যায় না। তাই তখন যদি অল্প কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া হয়।
ওই ক্লান্তি বা একঘেয়েমি ভাবটা দূর হয়ে যাবে। এরপর পড়তে বসলে পড়ায় আগের সেই মনোযোগ টা ফিরে আসবে। তাই পড়ার মাঝে কিছুক্ষন বিরতি নিয়ে আবার পড়তে বসুন। তবে এই বিরতিকালিন সময়ে মোবাইল, টিভি থেকে দূরে থাকুন।
পড়ার পাশাপাশি সেই পড়াগুলো লিখে বানান গুলো মনে রাখা
পড়ার পাশাপাশি লেখার মধ্যেও অভ্যস্ত হতে হবে। কারন দশবার পড়া একবার লেখার সমান কাজ করে। আমাদের মাঝে প্রায় ~৭০ শতাংশ মানুষই শুধু পড়ে কিন্তু লেখে না। এর ফলে পরীক্ষার খাতায় প্রচুর বানান ভুল হয় ও লেখা সুন্দর হয় না। এই কারণে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার ও পাওয়া যায় না।
তাই পড়ার পাশাপাশি লেখায়ও অভ্যস্ত হতে হবে। তাহলে নিজেদের ভুলগুলো নিজে ধরতে পারবেন, এবং পরীক্ষার খাতায় ভাল নাম্বার পাবেন। যেরকম আশা করবেন তেমনই হবে ইনশাল্লাহ। তাই পড়ার সময় লেখার ও অভাস গড়ে তুলুন এতে পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হবে।
ভালো বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ তৈরি করে পড়া
গ্রুপ তৈরি করে পড়ার দ্বারা সেই বিষয়ের খুঁটিনাটি জিনিসগুলো জানা যায়। আর গ্রুপ তৈরি করে পড়লে পড়া খুব দ্রুত মুখস্থ হয়। তার পাশাপাশি নিজের ভুলগুলো ধরা যায়। তবে, গ্রুপ স্টাডির সময় যেন মনোযোগ নষ্ট না হয় সেইরকম বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করবেন। ভালো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রুপ তৈরি করে পড়বেন। তাহলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা
নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার ফলে শিক্ষক কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারবে। পরীক্ষায় কোন টপিক আসবে বা আসবে না অনেক সময় শিক্ষক বলে দিয়ে থাকেন। আর এটা পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট করার আরেকটি ধাপ। তাই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য নিয়মিত সকল ক্লাসে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন। আসতে না পারলেও সহপাঠীদের থেকে বিগত দিনের পাঠ সংগ্রহ করে নিবেন।
রাত নাহ জেগে ঠিক মত ঘুমানো
আমরা অনেকেই পরীক্ষার আগের রাতেও ইন্টারনেট জগৎ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমাদের সবসময় রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে হবে। পড়া শেষে কোনো মতেই ফোন ঘাটা যাবে নাহ এতে করে ব্রেনে আরও চাপ পড়বে এবং ঘুম থেকে উঠার পর পরই ফোন ধরা যাবে নাহ তাহলে কোনো খারাপ মেসেজ দেখলেই দিন টা খারাপ যাবে বা পরীক্ষার মনোযোগ নষ্ট হবে।
আবার যতই পড়া থাকুক রাত জেগে নাহ পরে, ফজর নামাজ শেষে পড়লেই হবে। তাহলে ব্রেন ফ্রেশ মুডে থাকে কোনো চাপ পরে নাহ। ব্রেন ফ্রেশ থাকলে পরীক্ষার রেজাল্ট গুলো এমনিতেও আলহামদুলিল্লাহ্ খুব ভালো হয়। তাই রাতে ১০ টা ১১ টায় ঘুমিয়ে যাবেন এবং ফজরের নামাজ পড়ে পড়তে বসার অভ্যাস তৈরি করবেন তাহলে দেখবেন জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
নোট খাতা তৈরি করে পড়া
পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোকে নোট করা, খাতায় তুলে রাখা এর ফলে পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ে। আর পড়ালেখার চাপ কমে যায়। এর ফলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়। আর পরীক্ষায় প্রস্তুতি ভালো হলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার আশা করা যায়। পরীক্ষার আগের রাতে সব পড়া রিভিশন দেয়ার জন্য নোট খাতা অনেক প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। তাই এতে করে পড়াও খুব সহজেই মনে পরে যায়।
পড়ার পরিবেশ তৈরী করে পড়তে বসুন
পরীক্ষায় ভালো করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল পরিবেশ তৈরি করা। পরিবেশ তৈরি করার জন্য কয়েকটি কাজ আপনার করতে হবে। প্রথমে আপনি আপনার মোবাইলকে আপনার পড়ার জায়গা থেকে দূরে রাখুন। পারলে বন্ধ করে রাখুন। হইচই, হট্টগোল ইত্যাদি বিভিন্ন রকম আওয়াজ থেকে দূরে গিয়ে পড়ুন। পর্যাপ্ত আলোর নিচে পড়তে বসুন।
কেননা রুমে আলো কম হলে মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি পড়ালেখায় মনোযোগ কমে যায়। চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন। কেননা বিছানায় বসে পড়লে অলসতা আসবে তারপর পড়ালেখায় মনোযোগ কমে যাবে। তারপর শুতে মন চাইবে। এভাবে আর লেখাপড়া মনোযোগ সহকারে হবে না। সাথে এক কাপ চা নিয়ে নিতে পারেন এতে করে শরীর টা চাঙ্গা থাকে। অলসতা দূর হয় পড়ায় মনোযোগ বসে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাইলাইট করুন
পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ পড়া গুলোক কোন রঙিন কলম দিয়ে হাইলাইট করুন। এতে করে প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। আর এভাবে লাইন গুলো চোখে পড়লেই গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো দ্রুত মুখস্থ হয়ে যায়। পাশাপাশি অল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো মুখস্ত হয়ে যায়।
অতএব অবশ্যই এই টেকনিকটি ফলো করুন। হাইলাইট করার ফলে আপনি বই খুললেই আপনার পড়া মূল অংশ গুলো সহজেই খুঁজে পাবেন। আপনার বেশি সময় নষ্ট করে খুঁজতে হবে নাহ। পৃষ্ঠা উল্টালেই আপনি আপনার হাইলাইট করা অংশ গুলো পেয়ে যাবেন এবং পড়াও মনে পড়ে যাবে সহজেই।
প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন বুঝে-শুনে মুখস্ত করা
ক্লাসে যে প্রতিদিন পড়া দেয় সেই পড়া বুঝে মুখস্ত করা। শুধু খাওয়ার মত মুখস্ত করলেই করলেই হবে নাহ একটু বুঝে ভেবে চিন্তে যেনো একটু মুখস্ত থাকে বাকিটা বুঝতে পারার ক্ষমতা টা থেকেই অটোমেটিকলি এসে পরে। এভাবে মুখস্ত করলে রেজাল্ট ভালো হবার সম্ভবনা বেশি।
তাই আমাদের সবার উচিত প্রতিটা পড়া বুঝে মুখস্ত করা। ক্লাসে প্রতিদিন যে পড়া দেয় সেই পড়া মুখস্ত করুন। এই কাজটা পরীক্ষার মধ্যে অনেক কাজে দিবে এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখে।
সময় নির্ধারণ করে পড়াশোনা করা
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় এর মধ্যে আরেকটি অন্যতম উপায় হচ্ছে পড়ার জন্য সময় বের করা বা সময় গুছিয়ে নেয়া। প্রথমে একটি সময় বের করুন, এত ঘণ্টা থেকে এত ঘণ্টা এই সাবজেক্ট টি পড়ব, লিখবো, আর নোট করবো। এর ফলে অল্প সময়ে অনেক পড়া পড়তে পারবে।
পাশাপাশি পড়ায় মনোযোগ বেড়ে যাবে। সময় নির্ধারণ করে পড়ার জন্য একটি রুটিন বানানো আবশ্যক প্রয়োজনীয় এতে করে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। আর পড়াশোনায় মনোযোগ ও বাড়বে রুটিন করার ফলে। আর পড়ায় মনোযোগ বাড়লে ভালো রেজাল্ট করা যাবে। ইনশাআল্লাহ।
বার বার নিজের সততার কাছেই পরীক্ষা দেওয়া
আমরা নিজেরা যদি সৎ থাকি তাহলে আমাদের ভয় জিনিসটা কাজ করে না। আমরা জানি আল্লাহ্ যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করেন। এই হিসেবেই আমরা সৎ থেকে নিজেকে পরীক্ষা করি। ১৫ দিন অন্তর যতটুকু পড়া হয় ততটুকুর ভিতরেই নিজেরা প্রশ্ন বানিয়ে নিজেদের সততার সামনেই পরীক্ষা দিব।
এতে করে নিজের মানসিক বিকাশ ঘটার পাশাপাশি পড়ার অক্ষমতা ও কমে যায়। মাসে ২ বার সততার সামনে পরীক্ষা দিলে অনেক কঠিন বিষয় গুলো ক্লিয়ার হয়ে যায়, বানান গুলো ঠিক ভুল যাচাই করা যায়, সময় নিয়ে উত্তর মিলানো যায় ও নিজের পড়ার পারদর্শিতা উপলব্ধি করা যায়। এই সততার পরীক্ষার ফলে ভালো রেজাল্ট করার সক্ষমতা থাকে।
কমপক্ষে পরীক্ষার দু মাস আগে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া। আমরা পরীক্ষার রাত গুলো জেগে জেগে পড়ি আর হলে যেয়ে ইচ্ছা মত ঝিমাই (ঘুমের ভাব অতিরিক্ত বেশি হয়)। এর জন্য পরীক্ষার আগের রাত গুলো কম সময় জেগে ভালো করে ঘুমিয়ে ব্রেন রিফ্রেশ করে সকালে পড়া।
তা না হলে ঘুমের ক্লান্তি ভাব টা যায় না এর ফলে আমাদের অনেক বাজে রকম সমস্যার ভিতর পড়তে হয়। পরীক্ষার রাত গুলো বেশি প্রেসার নিয়ে না পরে হাইলাইট করা লাইন গুলো পড়লেই সব আবার ব্রেনে চলে আসে এবং পড়া গুলোও সহজ হয় এবং তাড়াতাড়ি মুখস্ত হয় যার ফলে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায়। এমনি করেই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব হয়ে উঠে।
পরীক্ষার দিন রাত গুলোতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো
আপনি যদি চান আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করুক তাহলে ভালো করে ঘুমান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান কারণ এটা বলা হয় যাতে আপনার মনোযোগ আরও বৃদ্ধি পায় এবং পরীক্ষায় লিখে আসতে পারেন। আর আমরা উপরের ধাপ গুলো থেকেই জেনেছি পরীক্ষার আগের রাতে কি করা উচিৎ আমাদের। আসলে আমরা পরীক্ষার আগের রাত গুলো খুব ভয়ে ভয়ে থাকি যার ফলে পড়া মুখস্ত হওয়ার থেকে আগের পড়ায় ভুলে যাই বেশিরভাগ সময়।
আমাদের এই ভয় টা তৈরি হয় অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে!!! যত রাত জাগবে তত দুশ্চিন্তা কাজ করবে আর আমাদের ভয় বাড়বে এতে করে পড়াও হবে নাহ আরো ক্লান্তি ভাব আসে শরীল অসুস্থ করে দিবে, যা আমাদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এর জন্য আমাদের সব ভয়ভীতি কে তাড়িয়ে আগে আগে ঘুমিয়ে যেতে হবে, শরীলে ক্লান্তি ভাব আনতে দেওয়া যাবে নাহ, কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা করে দুর্বল হওয়া যাবে না। আমদের নোট করা খাতা গুলো রিভিশন দিয়ে রাত ১১ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতে হবে এবং ফজর সময় উঠে নামাজের শেষে পড়া নিয়ে বসতে হবে তাহলেই মনোযোগ স্থির থাকবে।
নিজেকে নিজে উৎসাহ দেওয়া
আমরা কখনোই নিজেকে অযোগ্য বলে নিজেদের কাছে ছোটো করবো নাহ এতে করে আমরাই আমাদের মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করি। এমনটা নাহ করে সবসময় আমরাই আমাদের মানসিক ভাবে সাহস জোগাবো। যাতে করে ভয় ভীতি কে আর সাহস থাকে মনে। নিজের অক্ষম দুর্বল ভাবলেই কখনোই সামনে এগোনো জানে নাহ। উপরে উঠতে চাইলেই দুর্বলতা ভেবে নিচে নেমে আসবো। সবসময় নিজেদের সাহস নিজেদের কেই দিতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় সারমর্মঃ প্রিয় শিক্ষার্থী, আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চান তাহলে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে এবং উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। তাহলে আশা করা যায় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
উপসংহার
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন স্যার, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো কি। আশা করি এই পোস্টে সব উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই ছিল পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়। এসব উপায় যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে আজকে থেকে অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। আপনাদের জন্য দোয়া রইলো ভালো করে পরীক্ষার দিনও ভালো রেজাল্ট করে নিজেদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করুন। আজকের পোস্ট সম্পর্কিত যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ফি-আমানিল্লাহ
Tags:
Education